বড় পর্দার পর ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে নির্মাতা আসাদ সরকারের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘জীবন পাখি’। গত ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস থেকে জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বায়োস্কোপে চলচ্চিত্রটি বিনা মূল্যে দেখা যাচ্ছে। বড় পর্দার মতোই ওটিটিতেও প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিনেমাটি
আজ আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৫৩২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের মধ্যে স্কুল-কলেজ পর্যায়ের ৪৪৬ জন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। এই হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে ৪৫ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে
‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’ একটি সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক দিন। ২০০৩ সাল থেকে ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা প্রতিরোধের দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এ দিবস পালিত হয়।
সিরাজগঞ্জে চলতি বছরের ৪ জুলাই থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত ১১ জন আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জন নারী ও পাঁচজন পুরুষ। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পারিবারিক কলহ ও বিষণ্নতা থেকে এ ঘটনা বেশি ঘটছে। তাঁদের মতে, মানসিক চিকিৎসা ও সচেতনতা বাড়াতে পারলে আত্মহত্যার ঘটনা কমে আসবে।
ছোটখাটো কারণেই অনেকে বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। কেউ যাতে আত্মহত্যার পথ বেছে না নেয় সে জন্য সামাজিক সচেতনতায় নির্মাতা আসাদ সরকার নির্মাণ করেছেন ‘জীবন পাখি’ নামের একটি পূর্ণদৈর্ঘ্যর চলচ্চিত্র। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে রাজশাহীতে...
আত্মহত্যা করে সারা বিশ্বে প্রতি বছর মারা যান ৮ লক্ষ মানুষ। এই হিসেবে বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন আত্মহত্যা করছেন। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের প্রায় দশ হাজার মানুষ। বিশ্বে ১৪ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ আত্মহত্যা।
বিশ্বে প্রতি বছর ৭ লাখেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ হলো আত্মহত্যা। বিশ্বের মোট আত্মহত্যার ৭৭ শতাংশই ঘটে নিম্ন এবং মধ্য আয়ের দেশে। আত্মহত্যা বিষয়ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্যই উঠে এসেছে
আত্মহত্যার অধিকাংশই প্রতিরোধযোগ্য। ব্যক্তিগত পর্যায়ে আপনি ও আপনার কোনো বন্ধু বা নিকটজনের আত্মহনন রোধ করতে পারেন, হয়ে উঠতে পারেন মর্মান্তিক পরিণতি ঠেকিয়ে দেওয়ার উপলক্ষ। এ জন্য দরকার সচেতনতা, কুসংস্কার কাটিয়ে ওঠা এবং দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন।
বাংলাদেশে আত্মহত্যা প্রবণতা ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ কোভিড মহামারির এই সময়ে দেশে বিভিন্ন বয়সীদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু বিষয়টিকে সেভাবে গুরুত্ব দিয়ে এই প্রবণতা রোধে তেমন কোনো উদ্যোগ দৃষ্টিগ্রাহ্য হচ্ছে না।
আত্মহত্যাকে শুধু ব্যক্তির সংকট হিসেবে দেখার একটা প্রবণতা আছে। কিন্তু আত্মহত্যার প্রবণতায় রয়েছে ঋতুভিত্তিক ভেদ। একেক দেশে আবার একেক রকম। আবার এক দেশের সবখানেও প্রবণতায় হেরফের আছে। যেমন বাংলাদেশের আত্মহত্যাপ্রবণ অন্যতম দুটি জেলা ঝিনাইদহ ও ঠাকুরগাঁও।